বিপ্লব হবে
‘বিপ্লব হবে জনতার’ হুশিয়ার এলো ঐ কালস্রোত ভেসে—
সাবধান শাসনে শোষক, রক্তচোষক!
ক্ষতবিক্ষত পিঠ এবার হবে ঢাল
যারা গড়েছে ভূতল, বহুতল; এক করেছে আকাশ পাতাল;
কড়া হাতে ছুটে চলে আলোর মশাল,
ছুটে জনতা সত্যের নেশে।
প্যাডেলে প্যাডেলে দুর্বার অথচ সংকীর্ণ শব্দ;
অবাধ্য প্রতিরোধ, শোষিতের গুঞ্জন —
দানবটা ভয়ে ভীত, স্তব্ধ।
সরণিতে রমণী, আঁখিতে তার ধ্বংসের আগাম চিত্র —
এ সংগ্রামে জেগেছে, জন্মেছে, জন্মাবে শত শত ইলামিত্র।
প্রাচীর ভেঙ্গে দাও,আবরণে মুক্ত হোক ধরা,
জয় হোক শাশ্বত সত্যের, ছুঁড়ে পুরাতন-জরা।
‘জয় হবে ন্যায়ের’ অভিশাপ শুনি কলে পিষ্ট
শ্রমে ক্লিষ্ট হাড়গোনা শ্রমিকের, দিনমজুরের
ধ্বংস ধ্বনিত শেলবিদ্ধ বুকে।
কষে লাথি হবে শোষক, পুঁজিবাদের গদিতে,
কর্পোরেটের বৃত্ত ভেঙ্গে হবে খান খান!
আগাম চিত্র দেখি শরীরভেজা রক্তঘামের স্রোতে।
সয়েছি অনেক, রয়েছি নিশ্চুপ, হয়েছি নব্য-দাস—
চাবুকে পঁচন ধরেছে; এবার সয় পিঠে বিরুদ্ধ উল্লাস!
বদলে যাবে চাবুকের হাত, বদলাবে চাবুক।
চাবুক পিটিয়ে এবার ওরা শিখাবে সভ্যতা,
যারা গড়েছিলো বস্তু পাথার, এবার সে লগ্ন আসুক!
না, এসেছে সে লগ্ন, জেগেছে জনতা গোপণে:
মৃত্তিকা ভেদ করে উঠলো বলে বিপ্লবের বীজ রোপণে।
জেগে ওঠো প্রাণ, তুমি অক্ষয়, তুমি অব্যয়!
‘প্রাণের স্পন্দনে প্রাণ জাগুক’—সময়ের শাশ্বত প্রত্যয়।
©ইলিয়াস আহমেদ