এক বছরের রাজা ও আমাদের গল্প
বর্তমান বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত রাষ্ট্র ও জাতিগুলোর পরিস্থিতির দিকে তাকালে
আমার কাছে যে চিত্রটি ভেসে আসে - মনে হচ্ছে কোনো এক ধ্বংসাত্মক স্রোতে আমরা সবাই
ভেসে যাচ্ছি, বাদ যাচ্ছে না কেউই। প্রবল স্রোতের প্রতিকূলে আঁকড়ে ধরে রাখার মতো যখন
কিছুই হাতের নাগালে নেই, তখন স্রোতে ভেসে আসা খড়কুঁটোকেও দেখে আশার বাঁধ জাগে। যখন
এটি প্রবলস্রোতে কিছুই করতে পারছে না, তখন অন্যকিছুকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা।
যে ব্যক্তিই নিঃস্বার্থ/স্বার্থোদ্ধারের লক্ষ্যে নিপীড়িত মানুষগুলোর জন্য একটু আশার আলো দেখাচ্ছে, তাকে আমরা দেবতার আসনে বসাতে কোনো ইতস্ততঃবোধ করছি না। সেই দমকা আশার আলোকে কখনো বিশাল অগ্নিকুন্ডের সাথে তুলনা করছি, যুদ্ধে নামিয়ে দিচ্ছি। যখন সে এতো প্রকান্ড অন্ধকার প্রকোষ্ঠের বিপরীতে বৃহৎ মশালের ন্যায় ভূমিকা রাখতে পারছে না, আমরা তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি।
যে ব্যক্তিটি স্থানীয় ছোট ছোট সমস্যাগুলোর জন্য লাইভে আশা শুরু করলো, তাকে আমরা জাতীয় ইস্যুতেও দেখতে চাই।
যে ব্যক্তিটি নিরাশ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে 'মোটিভেশনাল' বক্তব্য দেন, তাকে আমরা রাজনৈতিক ইস্যুতেও দেখতে চাই।
যে ব্যক্তিটি শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখছেন, তাকেও আমরা নেতা হিসেবে দেখতে চাই। চলমান ইস্যুতে আমরা তারও বক্তব্য চাই।
যে ব্যক্তিটি মুসলিমবিশ্বে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য একটু গরম বক্তব্য রাখেন, তাকে তো আমরা পারলে এ যুগের 'ইমাম মাহদী'র আসনে বসিয়ে দিই।
আমরা বুঝতে চাই না, ডাক্তার ডাক্তারির জায়গায় আর নেতা নেতার জায়গায়। আমরা সময়-অসময়ে সবাই ডাক্তার হয়ে যাই, প্রয়োজনে যাকে তাকে নেতার আসনে বসাতে কুন্ঠাবোধ করি না। আমরা নিজেরাও জানিনা, আমরা আসলে কী চায়! কাকে চাই! সত্যি কথা হলো - জাতিগতভাবে আমরা আজ দিশেহারা কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক। আমরা পরিবর্তন চাই কিন্তু মহাকালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই না। আমরা বিপ্লব চাই কিন্তু যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে না।
আমরা ইস্যুগলোকে ন্যায়-অন্যায় দিয়ে বিচার করি না; বিচার করি দল দিয়ে, আদর্শ দিয়ে। তাই বিচারে কিংবা বিপ্লবে সর্বদাই পক্ষপাতদুষ্ট থেকে যায়।
আর এই দুর্বলতার সুযোগ যে রাজনৈতিক দলগুলো নিচ্ছে না, তা না, অবশ্যই নিচ্ছে। যেকোন ইস্যুকে টার্গেট করে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছে। কোনো কোনো রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন নেতা/দলকে ক্ষমতাচ্যুতও করছে। দিনশেষে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করে নিজেই পূর্বের ন্যায় বা অধিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বা যথাযথ শাসন করতে পারছে না। সরকারগুলো এসব সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায়, কখনো সফল কখনোবা ব্যর্থ। মিডিয়া-প্রশাসন, রাজনীতি-ব্যবসা সবই কয়েকদিনের জন্য ইস্যুনির্ভর হয়ে যায়। একের পর এক ইস্যু দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ব্যাঘাত করেই চলেছে। সমাধান-অসমাধানের সংঘাতে রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই বলি। ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী বিরোধীদলগুলোর ক্ষমতায় আসা-যাওয়া সবই এদেশের মানুষ দেখেছে। ক্ষমতার পরিবর্তনে দেশে এ পর্যন্ত আহামরি এমন কিছুই হয়ে যায় নি। বরং দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থেকে যদি অন্য কোনো ব্যবস্থা (ism) থাকতো, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এরকমই অথবা আরো ভালো থাকতো।
আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বগুলোতে 'গণতন্ত্র' একটা মুখরোচক, শ্রবণমধুর শব্দ, আশা। কিন্তু বাস্তবে দলীয় বিভাজন, আদর্শিক বিভাজন, চিন্তার বিভাজনে এদেশের সাধারণ মানুষ সর্বোপরি খুব সুখে নেই। এদেশে গণতন্ত্র আলোচনার, টকশোর, তর্কের যথেষ্ট বিষয়ের সৃষ্টি করেছে ঠিকই কিন্তু দিনশেষে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে দেশগুলোকে মহাসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আমাদের দেশের পরিস্থিতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ক্ষমতার টানাহেঁচড়া, জনতার বিভাজন, জাতিগত নৈতিক পদস্খলন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুর্বল অবস্থান আমাদের পরাশক্তি ও সমৃদ্ধকে তো উন্নতি করছেই না, বরং ক্রমান্বয়ে স্থবির থেকে অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ সরকার, রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষদের কাছে এমন কিছুই নেই যা দিয়ে তারা এই ধ্বংসাত্মক গতিকে থামিয়ে দিবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আশ্বাস ও নির্ভরতা হারিয়েছে। তাই মানুষ এখন প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে কোনো এক 'দৈবশক্তি' বা 'সুপারম্যান' খোঁজাতে ব্যস্ত, যে এসে যাবতীয় সমস্যার মূলোৎপাটন করে দিবে। মানুষের শেষ বিশ্বাস আর আস্থার কাঁটা যেনো জিরোডিগ্রীতে এসে স্থবির হয়ে গেছে।
আর এজন্যই মানুষ স্রোতে ভেসে যাওয়া খঁড়কুটোকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে, যে যাবতীয় সমস্যা সমাধানের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে অপারগ, তার উপরেও চাপানোর চেষ্টা চলছে। দিনশেষে কেউ-ই পারছেনা কাঙ্খিত শান্তি ও নিরাত্তা এনে দিতে। মোটের উপর বললে, পুরো মানবজাতি এখন সর্বোচ্চ ও একক নেতৃত্বহীনতা ভুগছে।
এ অবস্থায় সুকুমার রায়ের একটা গল্প আমার প্রায়ই মনে পড়ে। গল্পের নাম - এক বছরের রাজা। আপনারাও অনেকে গল্পটি পড়ে থাকবেন। এ গল্পে প্রেতগন্ধর্বদের রাজ্যে একটা নিয়ম ছিলো রাজার পদটি কেবলমাত্র মানুষ দিয়েই পূরণ করা হয়, সেটাও আবার এক বছরের জন্য। এই একবছরে 'মানুষ রাজা' কে প্রেতগন্ধর্বরা সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব ও সম্মান দিয়ে মাথা তুলে রাখতো। যখনই এক বছর শেষ হয়, অমনি সেই রাজাকে জনমানবহীন মরুর দেশে নির্বাসনে দিয়ে আসতো। এভাবে অনেক 'মানুষ রাজা' তারা পেয়েছিলো আবার বছর শেষে প্রত্যেককেই নির্বাসিত হয়ে মরতে হয়েছিলো। সবশেষে তারা আসল রাজা পেয়েছিলো, যে কিনা শুধু একবছরের জন্য নয়, আজীবনের জন্য রাজা হিসেবে নির্ধারিত হন । কারণ, সেই রাজার বুদ্ধির চাইতে পরিণামদর্শিতা, নেতৃত্ব ছিলো বেশি।
প্রেতগন্ধর্বরা তো শেষপর্যন্ত ঠিকই সত্যিকারের নেতৃত্ব দেবার 'মানুষ রাজা' পেয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান মানবজাতি কি পাবে সেই 'কাঙ্খিত নেতা', যে কিনা ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকল মানবজাতিকে নিয়ে পৃথিবীতে এনে দিবে অনাবিল সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি?
যে ব্যক্তিই নিঃস্বার্থ/স্বার্থোদ্ধারের লক্ষ্যে নিপীড়িত মানুষগুলোর জন্য একটু আশার আলো দেখাচ্ছে, তাকে আমরা দেবতার আসনে বসাতে কোনো ইতস্ততঃবোধ করছি না। সেই দমকা আশার আলোকে কখনো বিশাল অগ্নিকুন্ডের সাথে তুলনা করছি, যুদ্ধে নামিয়ে দিচ্ছি। যখন সে এতো প্রকান্ড অন্ধকার প্রকোষ্ঠের বিপরীতে বৃহৎ মশালের ন্যায় ভূমিকা রাখতে পারছে না, আমরা তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি।
যে ব্যক্তিটি স্থানীয় ছোট ছোট সমস্যাগুলোর জন্য লাইভে আশা শুরু করলো, তাকে আমরা জাতীয় ইস্যুতেও দেখতে চাই।
যে ব্যক্তিটি নিরাশ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে 'মোটিভেশনাল' বক্তব্য দেন, তাকে আমরা রাজনৈতিক ইস্যুতেও দেখতে চাই।
যে ব্যক্তিটি শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখছেন, তাকেও আমরা নেতা হিসেবে দেখতে চাই। চলমান ইস্যুতে আমরা তারও বক্তব্য চাই।
যে ব্যক্তিটি মুসলিমবিশ্বে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য একটু গরম বক্তব্য রাখেন, তাকে তো আমরা পারলে এ যুগের 'ইমাম মাহদী'র আসনে বসিয়ে দিই।
আমরা বুঝতে চাই না, ডাক্তার ডাক্তারির জায়গায় আর নেতা নেতার জায়গায়। আমরা সময়-অসময়ে সবাই ডাক্তার হয়ে যাই, প্রয়োজনে যাকে তাকে নেতার আসনে বসাতে কুন্ঠাবোধ করি না। আমরা নিজেরাও জানিনা, আমরা আসলে কী চায়! কাকে চাই! সত্যি কথা হলো - জাতিগতভাবে আমরা আজ দিশেহারা কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক। আমরা পরিবর্তন চাই কিন্তু মহাকালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই না। আমরা বিপ্লব চাই কিন্তু যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে না।
আমরা ইস্যুগলোকে ন্যায়-অন্যায় দিয়ে বিচার করি না; বিচার করি দল দিয়ে, আদর্শ দিয়ে। তাই বিচারে কিংবা বিপ্লবে সর্বদাই পক্ষপাতদুষ্ট থেকে যায়।
আর এই দুর্বলতার সুযোগ যে রাজনৈতিক দলগুলো নিচ্ছে না, তা না, অবশ্যই নিচ্ছে। যেকোন ইস্যুকে টার্গেট করে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে, অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছে। কোনো কোনো রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন নেতা/দলকে ক্ষমতাচ্যুতও করছে। দিনশেষে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করে নিজেই পূর্বের ন্যায় বা অধিক ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বা যথাযথ শাসন করতে পারছে না। সরকারগুলো এসব সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায়, কখনো সফল কখনোবা ব্যর্থ। মিডিয়া-প্রশাসন, রাজনীতি-ব্যবসা সবই কয়েকদিনের জন্য ইস্যুনির্ভর হয়ে যায়। একের পর এক ইস্যু দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ব্যাঘাত করেই চলেছে। সমাধান-অসমাধানের সংঘাতে রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই বলি। ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী বিরোধীদলগুলোর ক্ষমতায় আসা-যাওয়া সবই এদেশের মানুষ দেখেছে। ক্ষমতার পরিবর্তনে দেশে এ পর্যন্ত আহামরি এমন কিছুই হয়ে যায় নি। বরং দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থেকে যদি অন্য কোনো ব্যবস্থা (ism) থাকতো, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এরকমই অথবা আরো ভালো থাকতো।
আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বগুলোতে 'গণতন্ত্র' একটা মুখরোচক, শ্রবণমধুর শব্দ, আশা। কিন্তু বাস্তবে দলীয় বিভাজন, আদর্শিক বিভাজন, চিন্তার বিভাজনে এদেশের সাধারণ মানুষ সর্বোপরি খুব সুখে নেই। এদেশে গণতন্ত্র আলোচনার, টকশোর, তর্কের যথেষ্ট বিষয়ের সৃষ্টি করেছে ঠিকই কিন্তু দিনশেষে দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে দেশগুলোকে মহাসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আমাদের দেশের পরিস্থিতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ক্ষমতার টানাহেঁচড়া, জনতার বিভাজন, জাতিগত নৈতিক পদস্খলন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দুর্বল অবস্থান আমাদের পরাশক্তি ও সমৃদ্ধকে তো উন্নতি করছেই না, বরং ক্রমান্বয়ে স্থবির থেকে অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ সরকার, রাজনৈতিক দল, সাধারণ মানুষদের কাছে এমন কিছুই নেই যা দিয়ে তারা এই ধ্বংসাত্মক গতিকে থামিয়ে দিবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আশ্বাস ও নির্ভরতা হারিয়েছে। তাই মানুষ এখন প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে কোনো এক 'দৈবশক্তি' বা 'সুপারম্যান' খোঁজাতে ব্যস্ত, যে এসে যাবতীয় সমস্যার মূলোৎপাটন করে দিবে। মানুষের শেষ বিশ্বাস আর আস্থার কাঁটা যেনো জিরোডিগ্রীতে এসে স্থবির হয়ে গেছে।
আর এজন্যই মানুষ স্রোতে ভেসে যাওয়া খঁড়কুটোকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে, যে যাবতীয় সমস্যা সমাধানের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে অপারগ, তার উপরেও চাপানোর চেষ্টা চলছে। দিনশেষে কেউ-ই পারছেনা কাঙ্খিত শান্তি ও নিরাত্তা এনে দিতে। মোটের উপর বললে, পুরো মানবজাতি এখন সর্বোচ্চ ও একক নেতৃত্বহীনতা ভুগছে।
এ অবস্থায় সুকুমার রায়ের একটা গল্প আমার প্রায়ই মনে পড়ে। গল্পের নাম - এক বছরের রাজা। আপনারাও অনেকে গল্পটি পড়ে থাকবেন। এ গল্পে প্রেতগন্ধর্বদের রাজ্যে একটা নিয়ম ছিলো রাজার পদটি কেবলমাত্র মানুষ দিয়েই পূরণ করা হয়, সেটাও আবার এক বছরের জন্য। এই একবছরে 'মানুষ রাজা' কে প্রেতগন্ধর্বরা সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব ও সম্মান দিয়ে মাথা তুলে রাখতো। যখনই এক বছর শেষ হয়, অমনি সেই রাজাকে জনমানবহীন মরুর দেশে নির্বাসনে দিয়ে আসতো। এভাবে অনেক 'মানুষ রাজা' তারা পেয়েছিলো আবার বছর শেষে প্রত্যেককেই নির্বাসিত হয়ে মরতে হয়েছিলো। সবশেষে তারা আসল রাজা পেয়েছিলো, যে কিনা শুধু একবছরের জন্য নয়, আজীবনের জন্য রাজা হিসেবে নির্ধারিত হন । কারণ, সেই রাজার বুদ্ধির চাইতে পরিণামদর্শিতা, নেতৃত্ব ছিলো বেশি।
প্রেতগন্ধর্বরা তো শেষপর্যন্ত ঠিকই সত্যিকারের নেতৃত্ব দেবার 'মানুষ রাজা' পেয়েছিলো। কিন্তু বর্তমান মানবজাতি কি পাবে সেই 'কাঙ্খিত নেতা', যে কিনা ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকল মানবজাতিকে নিয়ে পৃথিবীতে এনে দিবে অনাবিল সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি?