রাসূলের প্রস্থান
মরুর সন্ধ্যে থেকে তাঁর সঙ্গপ্রিয় উটগুলো
কেমন উদ্ভ্রান্ত আর অসহায়,
যে তাদের পিঠে চড়ে শোভা বাড়াতো
সে নিয়েছে বিদায়!
প্রিয় রাহবার হারানোর বেদনায়
আমার দুচোখে জলপ্রপাত,
দেবে কে প্রবোধ, নেবে কে বলো-
জগতসংসার পেয়েছে যে আঘাত!
প্রিয়পতি হেরে বিবিদের মরুশুষ্ক চোখ;
তবু শোকে বারবার মূর্ছায়।
প্রেমভরা রঙ্গিন মুখগুলো সহসা বিবর্ণ,
আহা, ক্রমশ তীব্রতর যাতনায়!
ওরে বিরহবিধুর বধূয়ারা,
শোকের মাতম আর কত?
প্রাস্তরিক দেহ ভেদে বিচ্ছেদের বিষাদ
হৃদয়ে রচে মহাযাতনার ক্ষত!
হায় আফসোস! ফের বিবিদের আর্তনাদ-
বলি, ঐরূপ চন্দ্রবদনে করোনা আঘাত।
সে সকলের কল্যাণকামী প্রিয় রাহবার,
মুহাম্মদ প্রিয় রাসূল মহান আল্লাহর।
বেদনাবিধুর বধূয়ারা, কে রবে অনির্বাণ?
নির্ধারিত সময়ে হলো যে রাসূলের প্রস্থান!
©ইলিয়াস আহমেদ
রাসূল সা. যখন পর্দা করেন তখন নারী সাহাবা আতিকা বিনতে যায়েদ রা. একটি শোকগাঁথা কবিতা রচনা করেন। তিনি আগে থেকেই একজন কবি ছিলেন। সেই কবিতার মূল বিষয়বস্তু থেকে অনু্প্রাণিত হয়ে বাংলায় এই কবিতাটি লিখেছি। মূল কবিতাটি আরবির পরিবর্তে ইংরেজি অনুবাদে পাওয়ায় হয়তো সম্পূর্ণ ভাব ফুটে উঠেনি। তা সত্ত্বেও চেষ্টা করেছি কিছুটা পরিমার্জন করে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য।